“কোভিড-১৯”-এর কল্যাণে চলাফেরা মেলামেশার বৃত্তটা ছোট হয়ে গেছে। মোটামুটি নিরুপদ্রবে বই পড়ার এ এক দারুণ সুযোগ। ফলে সম্প্রতি দিলীপ কুমার রায়ের “আবার ভ্রাম্যমাণ” বইটি পড়ার সময় পেলাম।  আর তারই মধ্যে পেলাম “মহত্তর যুদ্ধের প্রথম অধ্যায় – প্রত্যক্ষদর্শীর বিবৃতি” নামে আর এক অপূর্ব রত্নের সন্ধান।

এটি একটি স্মৃতিচারণ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যা দিয়ে শুরু হয়, সেই নাৎসি বাহিনীর পোল্যান্ড আক্রমণ ও ধ্বংসলীলার এক অমূল্য ঐতিহাসিক বিবরণ। সে কাহিনী যেমন মর্মন্তুদ ও বেদনার, তেমনই রোমাঞ্চকর । এর লেখক হিরণ্ময় ঘোষাল পাঠকের কাছে সম্ভবত খুব পরিচিত নাম নয়।  

তাই বইটি সম্বন্ধে কিছু বলার আগে হিরণ্ময় ঘোষালের বর্ণময় এবং বৈচিত্রপূর্ণ জীবনের দিকে তাকানো যাক।  

হিরণ্ময় ঘোষালের জন্ম ১৯০৮ সালে কলকাতায়। তাঁর পোলিশ জীবনী (ইংরাজিতে গুগুল অনুদিত) অনুসারে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন এবং পরে আইন পড়ার জন্য ইংল্যান্ডে যান। ১৯৩৫ সালে ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টানিস্লভ স্কায়ার  (Stanislaw Schayer)- এর আমন্ত্রণে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যবিদ্যা বিভাগে আধুনিক  ভারতীয় ভাষার অধ্যাপক পদে যোগ দেন। বাংলা ছাড়াও তিনি ইংরাজি এবং হিন্দি ভাষাও শিক্ষা দিতেন। 

১৯৩৯ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর যখন জার্মান বাহিনী পোল্যান্ড আক্রমণ করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, হিরন্ময় ঘোষাল তখন ওয়ারশতে ছিলেন এবং স্বচক্ষে সেই ভয়াবহ যুদ্ধ দেখেন। মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণের ফলে জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়লে, এবং জার্মানরা ওয়ারশ অধিকার করলে তারা  অধ্যাপক ঘোষালের পোল ভাষায় দক্ষতার কারণে (এবং তিনি বৃটিশ ইন্ডিয়ার নাগরিক হওয়ায়) তাঁকে গুপ্তচর বলে গ্রেফতার করতে পারে এই আশঙ্কায় তিনি তাঁর বাকদত্তার সঙ্গে ৭ই সেপ্টেম্বর পায়ে হেঁটে রুশ সীমান্ত পার হয়ে ভারতবর্ষ যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ওয়ারশ ত্যাগ করেন।

কিন্তু একমাসেরও বেশি সময় গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে উদ্বাস্তুর মতো ঘুরে ঘুরে শেষে আবার সেই জার্মান অধিকৃত ওয়ারশতেই ফিরে আসতে হয় তাঁদের। সৌভাগ্যবশত তাঁকে অল্প কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেই জার্মানরা রেহাই দেয়, এবং প্রায় এক বছর পরে তিনি তাঁর বাকদত্তাকে নিয়ে ভারতে ফিরতে পারেন।

দেশে ফিরে হিরণ্ময় ঘোষাল কিছুদিন বম্বেতে তৎকালীন শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রকের অধীনে পোলিশ উদ্বাস্তু সংক্রান্ত অফিসে কাজ করার পর ১৯৪৬এ দিল্লির অল ইন্ডিয়া রেডিওতে যোগ দেন।  ১৯৪৭ সালে তিনি মস্কোর ভারতীয় দূতাবাসে সাংস্কৃতিক  অ্যাটাসে (Attaché) ও প্রথম সচিব হিসাবে নিযুক্ত হন।

১৯৫১তে তিনি বিবিসিতে যোগ দেন। ১৯৫৬তে ভারতে ফিরে তিনি একবছর ভারত-বর্মা-চিন সীমান্তের উপজাতিদের ভাষার উপর কাজ করেন, এবং ১৯৫৭ সালে আবার ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার কাজে যোগ দেন।  সেখানে তিনি সংস্কৃত, বাংলা ও হিন্দি ছাড়াও ভারতের ইতিহাস এবং নৃতত্ত্বও পড়াতেন।

১৯৬২তে আন্তন চেখভের উপর তাঁর গবেষণার জন্য তাঁকে ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টর অফ লিটারেচর উপাধি প্রদান করে। এই গবেষণার কাজটি ডঃ ঘোষাল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার আগে শুরু করেন এবং যুদ্ধের প্রথম দিকে জার্মান বোমাবর্ষণের মধ্যেও তা চালিয়ে যান। তাঁর গবেষণা সংক্রান্ত সমস্ত কাজ এবং বইপত্র ধ্বংস হয়ে যেত, যদি তাঁর বাকদত্তার মা সেগুলি তাঁর অবর্তমানে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে না রাখতেন।

১৯৬৯ সালে ওয়ারশতেই অধ্যাপক হিরণ্ময় ঘোষাল দেহত্যাগ করেন দ্বিতীয়া স্ত্রী হালিনা, পুত্র বগদান (বাংলা “দেবদান”এর পোলিশ রূপ) ও কন্যা মীরাকে রেখে।  ওয়ারশ’র পাওয়াজকি (Powazki) সমাধিস্থলে তাঁকে সমাহিত করা হয়। 

কয়েকবছর আগে হিরণ্ময় ঘোষালের কন্যা মীরা কলকাতার গঙ্গা এবং  ওয়ারশর ভীসলা – এই দুই নদীর পটভূমিতে তার বাবা ও নিজের জীবন নিয়ে “Borne by Two Rivers” নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এর ট্রেলারটা আমি দেখেছি, কিন্তু সম্পূর্ণ ছবিটি দেখার সৌভাগ্য হয়নি। 

এবার ফিরে আসি “মহত্তর যুদ্ধের প্রথম অধ্যায় – প্রত্যক্ষদর্শীর বিবৃতি” বইটির কথায়।  পাঁচটি ভাগে বিভক্ত বইটি প্রায় রুদ্ধশ্বাসে পড়ে ফেলার মতো । বাংলায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপর লেখা এটিই সম্ভবত প্রথম বই। বাংলা ১৩৪৮ সালে (১৯৪১) বইটি কলকাতার কটন স্ট্রীটের “দি ন্যাশনাল লিটারেচর কোং” প্রকাশ করেন।

কিছুটা গল্প বলার মেজাজে, কখনও হাসির ছলে, যে নিদারুণ সব অভিজ্ঞতার জীবন্ত বর্ণনা অধ্যাপক ঘোষাল এই বইতে করেছেন তা পড়তে পড়তে মনে আসে উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের “নির্বাসিতের আত্মকথা” এবং সৈয়দ মুজতবা আলীর “দেশে বিদেশে” বই দুটির কথা।

বইটির নামে “মহত্তর যুদ্ধ” কথাটি মনে হয় ব্যঙ্গাত্মক। ঠিক যেরকম হিটলারের “মাইন কামফ” লেখকের ভাষায়, “আমার গুন্ডামী”। শুরুতে অধ্যাপক ঘোষাল ইউরোপের বিভিন্ন ভাষাগোষ্ঠীর পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, জার্মানিতে হিটলারের উত্থান, চেকোস্লোভাকিয়া গ্রাস, পোল্যান্ডের  নেতৃত্বের  হিটলারী কূটনীতি বোঝার অক্ষমতা এবং আসন্ন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত না হওয়া ইত্যাদির সংক্ষিপ্ত অথচ সাবলীল আলোচনা করেছেন একেবারে সহজ, সরল ভাষায়।

পয়লা সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ – পোল্যান্ডের উপর ঝটিকা আক্রমণ দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হল। লেখকের কথায় –  

১লা সেপ্টেম্বর ভোরবেলা আধোঘুমন্ত অবস্থায় শুনছি, পাশের ঘর থেকে কে যেন চীৎকার করে বলছে, “যুদ্ধ! যুদ্ধ সুরু হয়েছে! হালো, হালো! যুদ্ধ সুরু হয়েছে!” প্রথমে মনে হ’লো হয়তো স্বপ্ন দেখছি, কিন্তু…বারংবার একই কথা শুনতে শুনতে উপলব্ধি করলাম, পাশের ঘরে রাদিও থেকে খবর আসছে…গ্যাসের ভয়ে আটেকাঠে বন্ধ শার্শীর ভেতর দিয়ে চোখে পড়লো, কিছুক্ষণ আগেই দেওয়ালে দেওয়ালে বড় বড় ছবি এঁটে দেওয়া হয়েছে, স্বস্তিক আঁকা পাঁচ আঙুলের থাবা পোল দেশ লক্ষ্য করে’ ছুটে আসছে। একটি পোল সৈনিক ঐ পাঞ্জার ওপর প্রাণপণ শক্তিতে সঙ্গীন বসিয়ে দিয়েছে। তলায় বড় বড় অক্ষরে লেখা – Wara! খবর্দার!

এতদিন পরে হিটলারের মুখের ওপর চোপা করবার মত লোক পাওয়া গেল। W a r a!

এই যে যুদ্ধ শুরু হল, লেখকের মতে তা একরকম দাঙ্গা। কারণ, কোনরকম “ঘোষণা” ছাড়া সভ্য জগতে যুদ্ধ হয় না, দাঙ্গা হয়।

এর পরে ওয়ারশর আকাশে জার্মান বোমারুর হামলা ও পোলিশ বিমান ও বিমান বিধ্বংসী কামানের প্রতিআক্রমণের অপূর্ব ‘আঁখো দেখা হাল’ । জার্মান-পোল বিমানযুদ্ধ – যাকে লেখক বলেছেন “এক ঝাঁক শকুনের সঙ্গে গুটি দুইতিন চড়াই পাখীর লড়াই” – দেখার জন্য  

পুলিশ এবং নগররক্ষীদলের বারণ অগ্রাহ্য করেও পথে লোক জড় হয়ে গেল। পাহারাওয়ালারা নিজেরাই উটমুখো হয়ে এই অভাবনীয় দৃশ্য দেখতে লাগলো।

প্রতি মুহুর্তে বোমা পড়ার ভয়, আসে পাশে বোমা বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, জনশূন্য রাস্তাঘাট, ঘনঘন বিমান আক্রমণের সাইরেন এবং মাটির নিচে অথবা অন্য কোথাও আশ্রয় নেওয়া – এসবের মধ্যেও জীবনের মজার দিকগুলি লেখকের চোখ এড়ায়নি। তিনি মন্তব্য করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রয়স্থলে বোমা পড়লে পরলোকে  অনায়াসে আর একটি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে। এমনই একটি আশ্রয়স্থলে এক প্রৌঢ় দম্পতিকে নিয়ে একটি কৌতুক অণু নাটিকাও বইটিতে স্থান পেয়েছে।

কিন্তু যুদ্ধ বা দাঙ্গা যাই হোক, মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ কোন সার্কাস নয়। বাড়ির পর বাড়ি গুঁড়িয়ে যাচ্ছে, হাজারে হাজারে মানুষ চাপা পড়ে মারা যাচ্ছে – উদ্ধার করার লোক নেই। একটি দৃশ্য –

সন্ধ্যা পর্যন্ত সমানে চলল জার্মানদের নির্বিবেক ধ্বংসলীলা। ভারশৌয়ের দূর দূর পল্লীতে যেসব ঘটনার বিবরণ পড়ছিলাম গত দু’দিন ধরে আজ তা পদে পদে প্রত্যক্ষ করবার দুর্ভাগ্য ঘটলো…একটা সদ্য বোমায় ভাঙ্গা বাড়ীর পাশ দিয়ে যাবার সময় নজরে পড়েছিল দেহবিচ্যূত ছোট্ট একখানি পা …তাতে সাদা একটি মোজা আর সাদা একপাটি জুতো তখনো পরানো রয়েছে।

ওয়ারশ  থেকে পালিয়ে হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে রুশ সীমান্তের দিকে হাঁটা এবং সে পথ বন্ধ হয়ে গেলে পোল্যান্ডের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে দীর্ঘ পদযাত্রার  বিবরণ, অসহায় বেসামরিক জনতার উপর জার্মান বিমান আক্রমণের বীভৎস ছবি লেখকের কলমে ফুটে উঠেছে এই ভাবে

…খানার ধারে পড়ে আছে একটি মেয়ের শব; কল-বন্দুকের গুলিতে…মেয়েটির শরীর কোমরের কাছে কেটে দ্বিখন্ডিত করে’ দিয়ে গেছে। বয়েস মেয়েটির বেশী হয়নি, বছর বাইশ। কোলে একটি বছর খানেকের শিশু ছিল, সে তখনও নির্বিকার ভাবে স্তন্যপান করছে। একটি চাষী বুড়ী ছেলেটিকে তুলে নিয়ে গেল।

রাত্রের ম্লান জ্যোৎস্নাপ্লাবিত মাঠে স্বল্পক্ষণের জন্য জিরিয়ে নেবেন তাও অসম্ভব –

“…এইবার চোখে পড়লো, যেখানে আমরা বসে আছি, সেখানে আমরা একলা নই। সমস্ত মাঠজুড়ে মানুষ ও ঘোড়ার শবদেহ…ঘোর শাক্ত বংশের সন্তান হ’লেও শ্মশান-কালীর এ ধরণের লীলাভূমির দৃশ্য বেশীক্ষণ বরদাস্ত করা গেলনা…আমরা দু’’জনে ক্রমাগত সামনের দিকে এগিয়ে চললাম।

এরই পাশাপাশি আবার এক বিপরীত দৃশ্য – যুদ্ধের প্রেক্ষিতে প্রায় সুররিয়াল –

ম্লান জ্যোৎস্নায় দেখা গেল গ্রামের পুরানো গীর্জা আর তাঁর সুমুখের নদী, পাশেই গাঁয়ের পাঠশালা এবং একটু দূরে স্রোত-চালিত গম-ভাঙ্গা কল – যেন কোনো বিখ্যাত ওলন্দাজ চিত্র-শিল্পীর আঁকা নিখুঁত একখানি ছবি। চাঁদের মায়ায় চিত্রে ও বাস্তবে এই যে প্রতিযোগিতা, এ এক অদ্ভুত দৃশ্য।

এইভাবে গ্রাম থেকে গ্রামে, এক শহর থেকে আর এক শহরে পায়ে হেঁটে, কখনও বা গাড়িতে পথচলা। কোথাও কোন শহর আগুনে-বোমায় জ্বলছে, তারই ভিতর দিয়ে আগুন দেখে পাগল হয়ে যাওয়া ঘোড়ায়-টানা গাড়িতে সওয়ার।  

ওয়ারশ ছাড়া থেকে ফেরা পর্যন্ত এই যে মাস খানেকের কিছু বেশি সময় পথে পথে কাটানোর এই গল্প, যুদ্ধের পটভূমি না থাকলে, অনায়াসে সেরা ভ্রমণ কাহিনীগুলির মধ্যে স্থান পেতে পারত, “ভবঘুরের ডায়েরি” বা ঐ ধরণের কোন নাম নিয়ে। হাজার কষ্টের মধ্যেও পোলিশ গ্রামবাসীদের অতিথিপরায়ণতা, আবার কখনও আশ্রয়প্রার্থীকে নিরাশ করতে হওয়ায় পোলিশ চাষীর বেদনার বর্ণনা পাঠককে স্পর্শ করবেই।

কিন্তু এত কষ্ট বিফল হল। সীমান্তের অদূর থেকে আবার ফিরে আসতে হল সেই ওয়ারশতেই।  ওয়ারশ তখন জার্মান অধিকৃত এবং ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষের কবলে। ৭ই সেপ্টেম্বর যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, ১৪ই অক্টোবর তার বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। শহর প্রায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত। বিশ্ববিদ্যালয় ধূলিসাৎ। মিউজিয়মগুলি নিশ্চিহ্ন, আর লাইব্রেরীর বই পুড়িয়ে অকাল তুষারপাতের রাতে আগুন পোহাচ্ছে জার্মান সৈনিকরা। 

১৪ই অক্টোবর সন্ধ্যায় আমরা অধিকৃত ভারশৌএ ফিরে এলাম। পোল দেশের রাজধানী, যাকে রক্ষা করবার জন্যে পোল জাতি ধন, প্রাণ, সম্মান সমস্ত পণ করেছিল তারই দগ্ধপ্রায় সতীদেহ জার্মানদের হাতে এসে পড়েছে।

এর পরেও আছে পোল দেশে জার্মান ‘কুলতুর’ প্রতিষ্ঠার প্রয়াস এবং “বৈজ্ঞানিক উপায়ে এই পরাজিত ‘অনার্য’ জাতির জনন শক্তির বিনাশের” পরিকল্পনার কথা।

অত্যুগ্র জাতীয়তাবাদ কোনও  জাতিকে বর্বরতার কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, এবং তার প্রভাব সারা বিশ্বের কী ক্ষতি করতে পারে আশি বছর পরে আমরা তা ভুলতে বসেছি। “আমার গুন্ডামী” এবং তার লেখক এখন এদেশের অনেক জাতীয়তাবাদীর আদর্শস্থানীয়।  আর সেটাই  আজ “মহত্তর যুদ্ধের প্রথম অধ্যায়”-এর প্রাসঙ্গিকতা।

বইয়ের দোকানে সম্ভবত “মহত্তর যুদ্ধের প্রথম অধ্যায়” পাওয়া যাবেনা। আগ্রহী পাঠক ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরীতে বইটা পাবেন।

উদ্ধৃত অংশের বানান অপরিবর্তিত।

 ছবিঃ ইন্টারনেটের সৌজন্যে।