২০২০র নভেম্বর মাস। করোনার জ্বালায় অস্থির হয়ে দিল্লি থেকে ‘কোথায় একটু পালানো যায়’ ভাবছি। তখনও ভয়ানক দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েনি, কিন্তু বেশি দূরে কোথাও যাওয়ায় অনেক বাধানিষেধ। এমনি সময় মনে পড়ল দিল্লির খুব কাছেই রয়েছে একটা আকর্ষণীয় বেড়াবার জায়গা। রাজস্থানের আলোয়ার জেলায় সরিস্কা টাইগার রিজার্ভ। দিল্লি থেকে গাড়িতে মাত্র চার ঘন্টার পথ।

আরাবল্লী পাহাড়ের কোলে সরিস্কা টাইগার রিজার্ভে বাঘের দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমরাও পাইনি। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য ছিল বাঘ দেখা নয়, শহর থেকে দূরে পালানো। জঙ্গল ছাড়াও সরিস্কা থেকে এক ঘন্টার রাস্তায় “ভৌতিক কেল্লা” ভানগড়ও দেখার মতো জায়গা।

সকাল সাতটায় বেরিয়ে সাড়ে এগারোটা নাগাদ আমরা টাইগার রিজার্ভের গা ঘেঁষা রাজস্থান ট্যুরিজমের “দি টাইগারস ডেন” হোটেলে পৌঁছলাম, পথে সুন্দর একটা বিশ্রামের ও খাবার জায়গায় আধ ঘন্টার জন্য থেমে। রাজস্থান বেড়াতে গিয়ে দেখেছি পথের ধারে মাঝে মাঝেই পেট্রোল স্টেশনের সঙ্গেই চমৎকার দু’দন্ড জিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা।

হোটেলের লন

‘দি টাইগারস ডেন’-এর ঘরগুলো বেশ বড় এবং টয়লেট ভাল। আসবাবপত্রের অবস্থা তত ভাল নয়। যাইহোক এখানকার কর্মচারীদের সুন্দর ব্যবহার আর রোদ-মাখা সবুজ লনটা অন্য সবকিছু ভুলিয়ে দেয়। তাছাড়া হোটেলটা একেবারে জঙ্গলের গেটের পাশে হওয়ায় খূব ভোরে বন দেখতে যাওয়ার বিশেষ সুবিধা।

দেখলাম, ওখানে খুব কম লোকই মুখে মাস্ক পরেছে। ম্যানেজার বললেন ও অঞ্চলে কোনও করোনা রোগীর খবর নেই। হোটেলে জিনিসপত্র রেখে, জি পি এসের ভরসায় আর ম্যানেজার রাম অবতার সাহেবের পথনির্দেশ নিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম ভানগড়ের উদ্দেশ্যে। আজবগড় নামে একটা পুরনো কেল্লাও পথে পড়ে।

ভানগড়ের মূল কেল্লার প্রবেশ পথ

চারশ’ বছরের বেশি পুরনো ভানগড়ের কেল্লা নিয়ে অনেক গল্প আছে। ভূতের ভয়েই যে দুর্গটি পরিত্যক্ত হয়েছে তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কোন মতভেদ নেই । অম্বরের রাজা ভগবান দাস এই দুর্গের প্রতিষ্ঠাতা এবং একসময় এটি ছিল রাজা মানসিংহের ভাই মাধো সিং-এর রাজধানী।

ধ্বংসাবশেষ দেখে বোঝা যায় অতীতে এই কেল্লা এবং এর আশপাশের অঞ্চল বেশ সমৃদ্ধশালী ছিল। কেল্লার মধ্যের প্রাসাদটি একসময় সাত-তলা উঁচু ছিল, কিন্তু এখন মাত্র চারটি তলা অবশিষ্ট আছে।

কেল্লার উপর থেকে

পরিত্যক্ত বাজার, সারিসারি ছাদ-বিহীন ঘর, বড়বড় গাছের ছায়ায় ভাঙাচোরা কিছু বাড়ি আর জনবিরল পাথুরে পথ – সব মিলিয়ে বেশ একটা ‘অন্যরকম’ পরিবেশ। দুর্গচত্বরে দু’টো মন্দির আছে, কিন্তু সন্ধ্যের পর সেগুলোতেও তালা পড়ে যায়। একটা জায়গায় কিছু বহু পুরনো গাছ তাদের ঘন শাখাপ্রশাখা আর জটার মতো ঝুড়ি নিয়ে একটা ‘পরিবেশ’ সৃষ্টি করেছে, এই পর্যন্ত বলতে পারি

ভুতের আবাস?

সন্ধ্যে হয়ে আসায় আজবগড়ের কেল্লা আমাদের দেখা হয়নি। তবে পথে কিছু পরিত্যক্ত বাড়ি চোখে পড়ল, যাদের মালিকেরা নাকি ভূতের ভয়ে পালিয়েছে, যদিও পাশেই আবার দিব্যি লোকের বাস। ভূত কি বেছে বেছে কয়েকটা বাড়িতেই উপদ্রব করে? কী জানি।

“ভুতুড়ে” বাড়ির পাশেই মানুষের বাস

হোটেলে ফিরে চা খেতে খেতে পরের দিনের সাফারির বিষয়ে কিছু তথ্য নেওয়া গেল। করবেটের মতো সরিস্কাতেও দু’বার জীপ সাফারি হয় -ভোরে আর দুপুরে। এই জঙ্গলে ঢোকার দুটো প্রবেশপথ – “সরিস্কা” আর “টেহলা”। আমরা ছিলাম সরিস্কা গেটের পাশেই। সাফারি শুরু সকাল সাতটায়, এবং টিকিট ও জীপের ব্যবস্থা করার জন্য আধঘন্টা আগে পৌঁছান দরকার।

সন্ধ্যেবেলা হোটেলের লনের একপাশে কাঠকুটো দিয়ে জ্বালানো আগুনের পাশে বসে হোটেলের কর্মচারী “বিশাল রাও” গল্প শোনাল। কোন এক কাপালিক ভানগড়ের রাজকুমারী রত্নমালাকে বিয়ে করতে চায়। প্রত্যাখ্যাত হয়ে কাপালিক শাপ দেয় যে ভানগড় ধ্বংস হয়ে যাবে। কিছুদিনের মধ্যেই এক মহামারীতে রাজপরিবার সহ পুরো ভানগড় উজাড় হয়ে যায়। পরে কিছু মানুষ আবার ফিরে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু ভূতপ্রেতের জ্বালায় নাকি তারাও পালিয়ে যায়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত ভানগড় পরিত্যক্ত। তবে এখন এটি আর্কিওলজিকাল সার্ভের অধীনে রয়েছে।
বিশাল ছেলেটি শিক্ষিত, আর সংস্কৃতের পাঠ নিয়েছে উজ্জয়িনী থেকে। কিন্তু তার মগজ নানা কুসংস্কারে ঠাসা।

যাইহোক, অনেক কথার মধ্যে বিশাল আমাদের একটা কাজের কথা বলল। সেটা হচ্ছে, প্রত্যেক মঙ্গলবার টাইগার রিজার্ভে নিজের গাড়ি নিয়েই ঢোকা যায় প্রায় তিরিশ কিলোমিটার দূরে “পান্ডুপোল” নামে একটা প্রাচীন হনুমান মন্দির দেখার জন্য। অবশ্য কেবল মাত্র প্রধান সড়ক দিয়েই যেতে হবে, গতি সীমা মেনে। তবে এক প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকে অন্যটি দিয়ে বাইরে যাওয়া যায়। যেহেতু আমাদের থাকার মধ্যে একটা মঙ্গলবার পড়েছিল, এই নিয়মের ফলে আমরা একটা সাফারি নিজেদের গাড়িতেই করতে পেরেছিলাম।

পরদিন ঠিক সকাল সাতটায় গাইড দেশরাজ ও ড্রাইভার রাম সিং-এর সঙ্গে বনে ঢুকলাম। অন্য টাইগার রিজার্ভের মতো এখানেও হুডখোলা জীপ। আর ভোরে ঠান্ডাও বেশ ছিল। আরও কিছু ট্যুরিস্ট ছিলেন, কিন্তু আমরা শেয়ার না করে পুরো একটা জীপই নিলাম।


দেশরাজ প্রথমেই জানিয়ে রাখল, সরিস্কায় বর্তমানে একুশটা বাঘ আছে, কিন্তু জঙ্গলের আয়তন বিশাল। সে তুলনায় রণথম্ভোরের বন ছোট, অথচ সেখানে বাঘের সংখ্যা সত্তরের বেশি। তাই রণথম্ভোরে বাঘের দেখা পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। সরিস্কায় সে সম্ভাবনা অনেকটা কম। তা ছাড়া সব জোন সাফারির জন্য নয় – কিন্তু বাঘের জন্য তো পুরো জঙ্গলটাই।

তিনঘন্টার সাফারিতে অনেক চেষ্টা করেও বাঘ দেখাতে না পেরে আমাদের গাইডের আফসোস কিছু কম হয়নি। সরিস্কার যে অংশে সাফারি হয়, তার একেবারে গা ঘেঁষে কিছু গ্রাম রয়েছে, যাদের গোরু মোষ দিব্যি চরে বেড়াচ্ছে। তাই দেখে আমার বাঘের দেখা পাওয়ার আশা একেবারেই ছিলনা। তবে বাঘের পায়ের অনেক ছাপ ছিল; কাজেই সরিস্কায় বাঘ আছে এটা গল্প নয় ।

বনে জীবজন্তু কিছু কম দেখলাম না। প্রচুর চিতল হরিণ, নীলগাই, সম্বর এবং বুনো শুয়োর ছাড়াও পেলাম অজস্র ময়ূর, সারপেন্ট ঈগল, পেঁচা এবং আরও নানারকমের পাখি। আর দেশরাজ আমাদের দেখাল নানা রকমের দামী গাছ যেগুলি থেকে বনবিভাগের ভাল আয় হয়।

আমাদের জীপ ঘন বনের মধ্যে বেশ কয়েকটা জলাশয়ের কাছে দাঁড়িয়ে রইল চুপচাপ, যদি “তিনি” জল খেতে আসেন সেই আশায়। আর তখনই দেশরাজ দেখাল বহুদূরে চরের ওপর মুখ হাঁ করে রোদ পোহাচ্ছে একটা কুমীর। ওর চোখের প্রশংসা করতেই হয়, কারণ আমি তো খালি চোখে কুমীরটাকে দেখতেই পাইনি।

পরদিন হোটেলে গরম গরম ব্রেকফাস্ট করে আমরা তৈরি হলাম আমাদের “নিজস্ব” সাফারির জন্য। পরিকল্পনা ছিল প্রথমে হনুমান মন্দির দেখে তারপর “টেহলা” গেট দিয়ে বেরিয়ে আমরা যাব একটা পাহাড়ের ওপরে “নীলকণ্ঠ মহাদেব” মন্দিরটা দেখতে।

টিকিট কেটে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়লাম জঙ্গলে। কিন্তু এবার আর ডাইনে বাঁয়ে যাওয়া চলবে না। জায়গায় জায়গায় ফরেস্ট গার্ড রয়েছে।


রাস্তাটা পাথুরে, কিন্তু গর্ত নেই, আর বেশ চওড়া। যাচ্ছি ঘন্টায় তিরিশ কিলোমিটার গতিতে। ইচ্ছে থাকলেও এর চেয়ে জোরে চালান সম্ভব নয়, কারণ রাস্তার ওপর ঘুরে বেড়াচ্ছে হরিণ, ময়ূর, বুনো শুয়োর এবং ছানাপোনা নিয়ে হনুমানের দল।


সেদিন মঙ্গলবার হওয়ায় দূর দূর থেকে ভক্তরা আসছে, এবং যাবতীয় বিধিনিষেধ উড়িয়ে চলেছে হনুমানদের খাওয়ানো। কলা, ছোলা এবং আরও কি সব। যদিও ঢোকার সময় প্রহরী প্রশ্ন করেছিল সঙ্গে “জানোয়ারদের জন্য কোন খাবার আছে নাকি?” তো ভক্তির সঙ্গে সত্যির কতটুকুই বা সম্পর্ক! কাজেই রাস্তায় হনুমান, জংলী শুয়োর আর ময়ূররা একসঙ্গেই খুঁটে খাচ্ছিল সে সব ভক্তির দান।

পান্ডুপোলের কাহিনীটা মহাভারতের। পান্ডবেরা তখন বনবাসে। বিরাট নগরের পথে। (প্রসঙ্গত, আজকের বিরাটনগর সরিস্কা থেকে খুবই কাছে)। রাস্তায় সবাই পিপাসায় কাতর। ভীমসেন গেলেন জলের সন্ধানে। পথিমধ্যে এক বিশালাকায় বৃদ্ধ কপিরাজ রাস্তা জুড়ে তাঁর বিশাল লেজ বিছিয়ে শুয়ে। ভীমসেন সেটা ডিঙিয়ে যাবেননা, আর কপিবরও লেজ নাড়াতে অপারগ। বললেন, “তুমিই লেজটা একপাশে সরিয়ে যাবার রাস্তা করে নাও”। কিন্তু ভীম তাঁর সর্ব শক্তি প্রয়োগ করেও লেজটিকে একটুও নাড়াতে পারলেন না । তখন তাঁর জ্ঞান হল যে ইনি সামান্য বানর নন, স্বয়ং মহাবীর। মানুষের বিশ্বাস, যেখানে ভীমের এই দর্শন হয়, পান্ডুপোলের হনুমান মন্দির সেই জায়গাতেই প্রতিষ্ঠিত।

একঘন্টার মধ্যেই পৌঁছেগেলাম মন্দিরে। শেষের দিকে সামান্য পাহাড়ি চড়াই, কিন্তু গাড়ি যায় সহজেই। মন্দিরটা খুব বড় নয়, আবার ছোটও নয়। পাহাড়ের মধ্যে বেশ সুন্দর পরিবেশ।

ফেরার পথে নীলকণ্ঠ দেখার জন্য আমরা চললাম টেহলা গেটের দিকে। এপথে অত গাড়িও নেই, নেই হনুমানের দলও। টেহলা গেটের দু’জন ফরেস্ট গার্ড দু’রকম কথা বলল নীলকণ্ঠে যাওয়ার রাস্তার ব্যাপারে। একজনের মতে আমার গাড়ি সহজেই সেখানে চলে যাবে, যদিও রাস্তা খাড়াই এবং পাহাড়ি। আর অন্যজনের মত সম্পূর্ণ উল্টো। আমরা ঠিক করলাম যতদূর যাওয়া যাবে যাব, যেখান থেকে আর ওঠা সম্ভব নয় সেখান থেকে ফিরে যাব।

এদিকে আবার জি পি এসএর সিগন্যাল নেই। পথে লোকজন খুবই কম। তারই মধ্যে দু’একজনকে জিজ্ঞাসা করে নীলকণ্ঠের রাস্তা খুঁজে নিলাম। যেতে যেতে দুটি ছেলে লিফট চাইল, তাদের গ্রাম মন্দির যে পাহাড়ে ঠিক তার নিচেই। ওরা বলল “এই গাড়ি অনায়াসে যাবে। রাস্তা পাহাড়ি, আঁকাবাঁকা, কিন্তু খারাপ নয়”।

ছেলেদুটিকে তাদের গ্রামে নামিয়ে আমরা পাহাড়ে ওঠা শুরু করলাম। পাহাড়ি রাস্তায় গাড়ি নিয়ে আমি আগেও গেছি, তবে এরকম কাঁচা সড়কে হেয়ারপিন বেন্ডে ঘোরা এই প্রথম। কিন্তু কয়েকটা বাঁক নেওয়ার পরে দেখি রাস্তা একদম মসৃণ কংক্রিটের, সোজা চলে গেছে মন্দিরের পার্কিংএ।

নীলকণ্ঠ মহাদেব মন্দির, সরিস্কা

প্রাচীন স্থাপত্যের ধ্বংসাবশেষ

ষষ্ঠ থেকে নবম শতাব্দীর মধ্যে তৈরি এই মন্দিরটি প্রাচীন। উত্তর ভারতে এই শৈলীর অনেক মন্দির আছে। মন্দিরের গায়ের কিছু কারুকার্য দেখার মতো । নর-নারীর একটা যুগল মূর্তি আমার কাছে খাপছাড়া ঠেকেছে, কারণ ওই একটি ছাড়া বাকি মূর্তিগুলো সবই বিভিন্ন পৌরাণিক দেবদেবীর, পৌরাণিক কোন ঘটনা বা দৈনন্দিন জীবনযাত্রার। অবশ্য আমি পুরাতাত্ত্বিক নই। কাজেই ভুল হতে পারে।

শিবলিঙ্গটির কোন বিশেষত্ব চোখে পড়েনি । মন্দিরের একপাশে রয়েছে নন্দী । একটা গ্রীল লাগানো তালাদেওয়া ঘরে বেশ কিছু পুরাকীর্তি রাখা রয়েছে, আর কিছু ছড়িয়ে আছে বাইরেই। কিন্তু কোথাও এই মূর্তিগুলোর ব্যাপারে কোনও তথ্য দেওয়া ফলক নেই। এমনকি এই মন্দিরের ইতিহাসও ভ্রমণকারীদের জানাবার প্রয়োজন মনে করেনি আর্কিওলজিকাল সার্ভে।শুধু “রেস্ট্রিক্টেড এরিয়া” লিখেই তাঁরা খালাস। তবে তাঁদের জয়পুর সার্কেলের ওয়েবসাইটে নীলকণ্ঠ মন্দির নিয়ে কিছু তথ্য আছে।

এইভাবেই “সংরক্ষিত” হচ্ছে অমূল্য শিল্প সম্পদ

নীলকন্ঠ থেকে ফেরার পথ মসৃণ এবং সরল। আরাবল্লীর ছোটবড় পাহাড়ের মধ্যদিয়ে আশপাশের পল্লীদৃশ্য দেখতে দেখতে গাড়ি চালানোটাই একটা সুন্দর অভিজ্ঞতা। কিন্তু সরিস্কার কাছে এসে একজায়গায় পথ খুব সরু – গ্রামের বাজারের মধ্যদিয়ে। উল্টো দিক থেকে ঢুকে পড়েছে এক ‘কলের লাঙল’ আর দু’পাশে নর্দমা। যাহোক, কোনরকম অঘটন ছাড়াই সে বিপদ থেকে উদ্ধার পেলাম।

সারা দিন ঘোরাঘুরির পর হোটেলে ফিরে চায়ের কাপ নিয়ে লনে বসলাম। দূরে গাছের ফাঁকে সূর্য অস্ত যাচ্ছে। ময়ূরের দল নিশিযাপনের জন্য গাছের মগডাল আশ্রয় করছে আর অজস্র পাখির কূজন দিনশেষের ঘোষণা করছে। মৃদু হাওয়ায় সামান্য শীতের ছোঁয়া।  দেখতে দেখতে আরাবল্লী পাহাড়ে সন্ধ্যা নেমে এল।